কন্যা সন্তানের বাবা হচ্ছেন সাকিবও
করোনার প্রভাবে সারা বিশ্ব যখন স্তিমিত, তখন সুখবর দিলেন বাংলাদেশ দলের দুই সেরা ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ এবং সাকিব আল হাসান। না মাঠে কিছু করেন নি এ দুজন। এই দুই ক্রিকেটারের ঘর আলো করে আসছে দ্বিতীয় সন্তান। অবশ্য এরই মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর পথচলা শুরু সাকিব আল হাসানের। এর ঠিক বছর তিনেক পর তাদের ঘর আলো করে এসেছিল প্রথম সন্তান আলাইনা হাসান। এবার দ্বিতীয়বারের মত কন্যা সন্তানের মাতা-পিতা হতে চলেছেন এই দম্পতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়ে আলাইনার একটি ছবি পোস্ট করেছেন সাকিব। ক্যাপশনে লিখেছেন ‘বিগ সিস্টারহুড’। তবে নবজাতককে নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি এখনো।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এই দম্পতি। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশ মিলিয়ে অবস্থান করেন তারা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর আগে সাকিব বাংলাদেশে ছিলেন। স্ত্রী কন্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে থাকার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ১৪ দিন একটি হোটেলে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন সাকিব। এরপরেই পরিবারের কাছে যান তিনি।
গত অক্টোবরে আইসিসির এক বছরের স্থগিতাদেশসহ মোট দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন সাকিব। এরপর থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন তিনি। জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব গোপন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়েন সাকিব। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে এই করোনা আতঙ্কের মাঝে গত সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের মতো পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহর স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। বর্তমানে মা-ছেলে দুজনই সুস্থ রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ খবর নিজেই দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
নবজাতক কিংবা মায়ের নয়, বরং হাসপাতালের রেজিস্ট্রির একটি ছবির মাধ্যমে এ খবরটি দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। গত রাতে আমাদের দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের জন্ম হল। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। একই সঙ্গে দোয়াটি আরবি ও ইংরেজিতে অর্থসহ লিখে দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ’আলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া না’উজু বিকা মিন শুরুরিহিম’।
Tuesday 7 April 2020
Author: coxjournal
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: