খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ ৩৫, মিয়ানমার আদা ১০০ প্রশাসন নির্ধারিত সময়ে খোলা
আব্দুল করিম,
চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান::
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ঘরে থাকা কর্মসূচি জোরদার করায় দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে ক্রেতাসমাগমে ভাটা পড়ছে। নিত্যপণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, চিনি ইত্যাদি বেচাকেনা হচ্ছে।খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২-৩ টাকা বেড়েছে। ভারতের খাসখালী ৩০-৩২ টাকা, নাসিক ৩৮-৪০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৩৮ টাকা পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে। দেশি পেঁয়াজের মধ্যে পাবনার হালি পেঁয়াজ কেজি এবং মেহেরপুরে বড় পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।তিনি জানান, নগরের বেশিরভাগ হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ, বিয়ে, শাদি, মেজবান, ওরস বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের চাহিদাও কমে গেছে। এখন ত্রাণের জন্য কিছু পার্টি পেঁয়াজ কিনতে খাতুনগঞ্জে আসছেন। মুদি দোকানিরাও আগের চেয়ে অনেক কম কিনছেন।আড়তদাররা জানান, চীনা রসুন মানভেদে ১১০-১১৫ টাকা, চীনা আদা কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে ১৪৫ টাকা, মিয়ানমারের আদা ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। পচনশীল ও নিত্যপণ্য বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চিনি, ভোজ্যতেল ইত্যাদির পাইকারি দোকান ও আড়ত সরকার ও প্রশাসন নির্ধারিত সময়ে খোলা থাকছে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই এলাকায়।
0 coment rios: