চট্টগ্রাম পাইকারি বাজারে বাড়ল চিনির দাম
আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে আবারও বেড়েছে চিনির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেটে চিনি আমদানিতে শুল্ককর বাড়ানোর প্রভাবে দাম বাড়ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট প্রস্তাবের পরপরই চিনির বাজার অস্থির হতে শুরু করে। কারণ তার আগেই আমদানিকারকদের কাছে প্রচুর চিনি মজুদ করা ছিল। বাজেট ঘোষণার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রতি কেজি চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে সাড়ে ৬ টাকা করে।
সোমবার( ১৯আগস্ট) খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) চিনি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯৩০ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজি প্রতি ৫২ টাকা। গত জুনে প্রস্তাবিত বাজেটে ঘোষণার দিন মণপ্রতি চিনি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়। বাজেট ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত মণপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা। এরমধ্যে গত দুইদিনের ব্যবধানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১২ টাকা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের চিনি আমদানিকারক আর এম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ বলেন, সরকার চিনির আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে। তাই দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে শুল্ক পরিশোধ করতে হয় সাড়ে ৮ টাকা। সেই হিসেবে চিনির দামও এখনো তেমন বাড়েনি।
খাতুনগঞ্জের অপর আমদানিকারক আহাদ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আবুল বশর জানান, দাম কেন বাড়ছে সেটি মিল মালিকরা ভালো বলতে পারবেন। তিনি মিল মালিকদের ফোন করার উপদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বাজেটে আমদানিকৃত অপরিশোধিত চিনির শুল্ক টনপ্রতি ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির শুল্ক সাড়ে ৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক (আরডি) ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। হিসেব করে দেখা গেছে প্রতি কেজি চিনিতে কর দিতে হচ্ছে ২১ টাকার মতো। যা গত অর্থবছরে ছিল ১৬ টাকা।
এদিকে খাতুনগঞ্জের কয়েকজন চিনির আড়তদার আজাদীকে জানান, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আবার আইনগতভাবেও স্বীকৃত নয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অ্যাডভান্স স্লিপ’। চিনি কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই স্লিপটি কেনাবেচায় হচ্ছে। এতে করে অনেক সময় বাজারও অস্থির হয়ে উঠে।
0 coment rios: